নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মিডওয়াইফ পদে শর্ত বহির্ভূতভাবে দেওয়া নিয়োগ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং শূন্য পদে রিট আবেদনকারীদের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে লিখিত প্রতিবেদন দিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
স্বাস্থ্য সচিব, নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থী কামরুন নাহারসহ ৭৭ জনের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দু কুমার রায়।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ১৮৪৭ মিডওয়াইফ শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই মিডওয়াইফ পদে আবেদনকারীদের আবেদনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ ছিল কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডওয়াইফারি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি বা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা-ইন-মিডওয়াইফারি সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হবে। এ অবস্থায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২০ মে ১৪০১ জনকে মিডওয়াইফ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কোনো কোনো প্রার্থী বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে আবেদন করেন। কিন্তু রিট আবেদনকারীদের সব যোগ্যতা এবং ৪৪৬টি পদ শূন্য থাকলেও রিট আবেদনকারীদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। এ কারণে বঞ্চিতদের মধ্যে ৭৭ জন রিট আবেদন করেন।
Leave a Reply