করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯-এর টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডাম টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গত ৮ জুলাই সুরক্ষা ওয়েবসাইট’র মাধ্যমে তাঁর রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এখন এসএমএস আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, ওয়েবসাইটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার টিকার স্থান মহাখালী ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল লেখা হয়েছে। অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এমনিতে হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুসের নানা জটিলতায় অসুস্থ। তাঁর অবস্থা আগের মতোই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে হাসপাতালে নেয়াটা সমস্যার বিষয়। উনি কোথাও গেলে ব্যাপক জনমানুষের সমাবেশ ঘটে। সেক্ষেত্রে তাঁর টিকা বাসায় দেয়া যায় কিনা সে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন ৭৬ বছর বয়েসী বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের ফিরোজায় ফেরেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ওই সময়ে করোনা ঝুঁকি দেখা দেয়ায় তাঁকে বাসায় স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত ১৪ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথম তিন সপ্তাহ তাঁর চিকিৎসা গুলশানে চলে। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা দেখা দিলে তাঁকে ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় যা এখনো কার্যকর রয়েছে।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বাসায় তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই মনিটরিং করা হচ্ছে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক আব্দুস শাকুরসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই টিমে রয়েছেন।
Leave a Reply