র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, রূপগঞ্জের আগুনের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এসব তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে র্যাব সবসময় বন্ধু হয়ে জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পাঁচ শতাধিক অসহায়ের মাঝে এই সহায়তা দেয়া হয়।
র্যাব ডিজি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ৫২ জন কর্মী নিহত হন। আমি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এছাড়া আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এলিট ফোর্স র্যাব। নিয়মিত আভিযানিক কাজের পাশাপাশি এই ধরনের দায়িত্ব সর্বদা পালন করছে র্যাব।’
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনে সরকারি তিনটি সংস্থা- জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মাদক উদ্ধার, জঙ্গিদের আটক, অস্ত্র উদ্বার, বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই বাহিনী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশাপাশি থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে র্যাব সবসময় বন্ধু হয়ে জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা জানেন ওইদিনের ঘটনা ঘটার পরপর র্যাব সদস্যরা এখানে আসেন এবং জায়গাটা সিক্যুয়েল করেন। আপনারা বলছেন, এখানে শিশুরা কাজ করছে এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় শিশুরা কাজ করছে। এটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই বিষয়ে যারা শ্রম ও অধিদফতরে আছেন সবাই এটা দেখবে।’
র্যাব-প্রধান বলেন, ‘আগুনের ঘটনা নিয়ে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে একটা ভালো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যে ৫২ জন মারা গেছেন তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের ডিএনএর বিষয়টি ম্যাচ করার পরে বিষয়টি সুস্পষ্ট হবে। আমরা একটু অপেক্ষা করি এখানে অনেকেরই ফেস চেনা যাচ্ছে না। রিপোর্ট পাওয়ার পরে আর কেউই আছে কি না সেটা জানা যাবে এবং নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
নারায়ণগঞ্জের ফ্যাক্টরিগুলোতে ভেজালবিরোধী পণ্য আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, ‘আমাদের অফিসাররা ভোজালবিরোধী অভিযান নিয়ে সব সময় সচেতন। আমরা এই বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে থাকি।’
Leave a Reply