1. admin@banglahdtv.com : Bangla HD TV :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

‘গণটিকার কর্মসূচি দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে’

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১
  • ১৬২ Time View
দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। তবে এ কর্মসূচি দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারের গণটিকা কার্যক্রমের সমালোচনা করে রোববার (৮ আগস্ট) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জিআরএফ) ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব) কোভিড রোগীর ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য প্রদান ও পরে প্রত্যাহার সরকারের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ না করেই গণটিকার নামে গণপ্রতারণা শুরু করেছে। একই সঙ্গে চরম অব্যবস্থাপনা এবং দলীয়করণের কারণে এই গণটিকা অভিযান গণসংক্রমণ অভিযানে পরিণত হয়েছে। সারা দেশে এই গণটিকার নামে একটা গণতামাশা শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারের হাতে টিকা এসেছে এক কোটি ৬০ লাখ অথচ ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে হলে প্রয়োজন হবে ২৬ কোটি টিকা। এ ছাড়া প্রথম এক সপ্তাহে ১ কোটি টিকা প্রদানের কথা বলে এখন এক দিনের ৩০ লাখ তিন দিনে দেওয়ার কথা বলছে।
সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়েছে, টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গণটিকা প্রদানের কর্মসূচি দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।
পরে ড্যাব ও জিারএফের চিকিৎসকরা মহাসচিবের হাতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা উপকরণ ও ওষুধ তুলে দেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (০৭ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। সারা দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর।
এ ক্যাম্পেইনের কার্যক্রমে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মূলত ২৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের আওতায় ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভার যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে।
তবে ৭ থেকে ৯ আগস্ট এই তিন দিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 banglahdtv
Design & Develop BY Coder Boss