চাকরি সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা। আর দাবি না মানা হলে আবারো আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন কর্মচারীরা। কর্মচারিদের পক্ষে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: দুলাল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মো: মজিবর রহমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সরকারি কলেজ ও মাদরাসা পরিচালনাকারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ২০১৩ সালে জনবল নিয়োগ দেয় কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়নি। মাউশি ২০২০ সালে আবারো জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সুপ্রিম কোর্ট একটি রিট মামলায় বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগে অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি তা মানেননি। তাই দাবি না মানলে আগামি সেপ্টেম্বরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃহত্তর আন্দোনলের ঘোষণা দেন তারা।
নতুন করে সরকারি কলেজগুলোয় কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের থেকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দোয়ার দাবি জানান, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল সরদার।
কর্মচারীদের অভিযোগ, সরকারি কলেজগুলোয় মাত্র পাঁচভাগ কর্মচারী সরকারি ভাবে কর্মরত আর ৯৫ ভাগ বেসরকারি কর্মচারী কর্মরত আছেন। করোনা মহামারীর সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ না করে দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। কিন্তু মহামারীর এই সময়ে কর্মচারীদের বেতন অর্ধেক করা হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা বেতনে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং অনেকে চাকরি হারিয়েছে। এমতাবস্থায় চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান তারা।
এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত বছরের ৮ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি কলেজ ও সরকারি মাদরাসাগুলোতে কর্মসূচি পালন করে কর্মচারীরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও মাউশির মহাপরিচালকে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
উল্লেখ্য, দেশের ৪০০টি সরকারি কলেজ ও তিনটি সরকারি মাদরাসায় কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে। দীর্ঘ দিন ধরেই এসব কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছে।
Leave a Reply