২৬শে আগস্ট, ২০২১ ছিল সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট এম ইউ আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী।
২০১১ সালের ১১ই আগস্ট আদালত সংশ্লিষ্ট একটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কয়েক ঘন্টা পুলিশী হেফাজতে থাকার পর জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে স্কোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই ২৬শে আগস্ট তিনি ইন্তেকাল করেন।
উক্ত মামলায়, সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৩জন বিজ্ঞ আইনজীবীর কারাভোগ, এম ইউ আহমেদের মৃত্যু আমাদের সুপ্রীম কোর্টের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে মনে করে সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন। তারই লক্ষে এবং দিনটির স্মরণে ও মরহুম এম ইউ আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দস কাজল জাতীয়তাবাদী আইনজিবী ফোরামকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ও স্মৃতিচারন করে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমি নিজেও তখনকার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম। কি একটা কঠিন সময় না আমরা পার করেছি! ১০ বছর আগে আজকের দিনটি ছিল শনিবার। আদালত বন্ধ ছিল। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের অভ্যন্তরে তার নামাজে জানাজার ব্যবস্থা করি। প্রয়াত এডভোকেট মো: নওয়াব আলী জানাজা পড়ান। জানাজা শেষে এম ইউ আহমেদের কফিন নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইনজীবীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঐ দিনই তাকে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এডভোকেট মো: শাহজাদা (পরবর্তিতে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সহ-সভাপতি) লাশের সঙ্গে বগুড়ায় যান এবং দাফনে অংশ নেন।
ব্যারিষ্টার কাজল মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া জানিয়ে বলেন আল্লাহ মরহুম এডভোকেট এম ইউ আহমেদ ভাইকে জান্নাতবাসী করুন। আজ জুম্মাবারে মরহুমের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
Leave a Reply