বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবে আফগান প্রশাসনকে সেনা সাহায্য করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তালেবান। তবে আফগান উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সাবেক শাসক দলটি।
সংবাদ সংস্থা এনএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের কাতার অঞ্চলের মুখপাত্র মহম্মদ সুহেইল শাহিন বলেন, ‘মিলিটারি রোল বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? যদি তারা (ভারত) আফগান প্রদেশকে সেনা সুরক্ষা দেয়, সেটা তাদের পক্ষে ভালো নয়। কারণ, অন্য দেশের সেনাবাহিনী তো এতদিন এই দেশে ছিল। ভবিষ্যতে তাদের কী হাল হয়েছে, তা তো সকলেরই জানা। সুতরাং বিষয়টি খোলা কিতাবের মতো। তবে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ কিংবা জাতীয় উন্নয়নে ভারতের সাহায্য অনস্বীকার্য। সেই জন্য তাদের তারিফ প্রাপ্য’।
দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সাহায্য করছে ভারত। আফগানিস্তানে সালমা বাঁধ তৈরি থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট, স্কুল, রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে ভারত। এ প্রসঙ্গে শাহিন বলেন, ‘বাঁধ তৈরি থেকে শুরু করে জাতীয় প্রজেক্ট, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সর্বোপরি আফগানিস্তানকে আর্থিকভাবে বিকশিত হতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।’
আফগান সেনা এবং তালেবানের সংঘর্ষে কূটনীতিকদের প্রাণের ঝুঁকি থাকায় সে দেশের দূতাবাস খালি করে ফেলেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশগুলোও ধীরে ধীরে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। যদিও বারবার তালেবানের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, কূটনীতিক কিংবা দূতাবাসের কোনো ক্ষতি হবে না।
এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘কূটনীতিক কিংবা দূতাবাসের কোনো ক্ষতি আমরা করব না। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ঝুঁকি নেই। সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। এ কথা অবশ্য আগেও বারবার বলেছি আমরা। তবে ভারত কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’
কিন্তু তাহলে পাকতিয়া প্রদেশে যে গুরুদ্বারে শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকা অবনমিত করা হলো? এ প্রসঙ্গে শাহিনের সাফ জবাব, ‘শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ওই পতাকা নামানো হয়েছিল। যখন আমরা সংবাদমাধ্যমে ওই খবর দেখি, তখনই ওই সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
শাহিন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতে পারবে। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।
সূত্র : এইসময়, লাইভ মিন্ট
Leave a Reply